বাংলাদেশ থেকে ট্যুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং| ট্যুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং স্টেপ-বাই-স্টেপ গাইড

Photo of author

By admin

নতুন নতুন দেশে ভ্রমণ করা অনেক রোমাঞ্চকর হতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশ থেকে ট্যুরিস্ট ভিসা পাওয়া কিছুটা জটিল। চিন্তার কিছু নেই! আমরা সহজ, ধাপে ধাপে গাইড নিয়ে এসেছি যা আপনাকে বাংলাদেশ থেকে ট্যুরিস্ট ভিসা পাওয়ার পুরো বিষয়ে সাহায্য করবে। আপনি যদি একজন ছাত্র, পেশাজীবী বা পর্যটক হন, এই ব্লগটি আপনার জন্য।

ধাপ ১: কোন ধরনের ভিসা প্রয়োজন তা নির্ধারণ করুন।
প্রথম ধাপ হল কোন ধরনের ভিসা আপনার প্রয়োজন তা নির্ধারণ করা। যেহেতু আমরা ট্যুরিস্ট ভিসার উপর ফোকাস করছি, নিশ্চিত করুন যে আপনি আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য অনুযায়ী সঠিক ক্যাটাগরি নির্বাচন করছেন। কিছু দেশে স্বল্পমেয়াদী অবস্থানের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরি রয়েছে, তাই ট্যুরিস্ট ভিসা নির্বাচন করুন।

ধাপ ২: ভিসার ডকুমেন্ট প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানুন।
প্রতিটি দেশের নিজস্ব নির্দিষ্ট ভিসার ডকুমেন্ট প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আপনি যে দেশটি ভ্রমণ করতে চান সেই দেশের অফিসিয়াল দূতাবাস বা কনস্যুলেটের ওয়েবসাইট দেখুন। বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য ডকুমেন্ট প্রয়োজনীয়তাসম্পর্কে তথ্য খুঁজুন। সাধারণত যেসব ডকুমেন্ট প্রয়োজন হতে পারে সেগুলো হল:

✅ স্টিকার ভিসা প্রসেসিং এর ডকুমেন্ট

০১। অরিজিনাল পাসপোর্ট (মিনিমাম মেয়াদ ০৭ মাস থাকতে হবে) সাথে নিয়ে আসতে হবে।
০২। ছবি (৩৫X৪৫) ল্যাব প্রিন্টের হতে হবে। ০২ কপি সদ্য তোলা।
০৩। ০৬ মাসের ব্যাংক স্ট্যাটমেন্ট ও সলভেন্সি সার্টিফিকেট।
০৪। ট্রেড লাইন্সেন্স এর ফটোকপি সহ ইংরেজি ও নোটারাইজ এর অরিজিনাল কপি।
০৫। কোম্পানীর দুই কপি ইংরেজি লেটারহেড এর সাদা পাতা (ব্যবসায়ীদের জন্য)
০৬। NOC – নো অবজেকশন সার্টিফিকেট এর অরিজিনাল কপি (চাকুরীজীবিদের জন্য)
০৭। ভিসিটিং কার্ড (ইংরেজি) (চাকুরীজীবি ও ব্যবসায়ী উভয়ের জন্য)
০৮। স্টুডেন্ট কার্ড অথবা ছুটির লেটার।
০৯। সরকারী চাকুরীজীবিদের জিও কপি, (ইংরেজি অনুবাদ ও নোটারাইজ) অরিজিনাল কপি
১০। সদ্য বিবাহিতদের নিকাহনামা কপি (ইংরেজি অনুবাদ ও নোটারাইজ) অরিজিনাল কপি

✅ ই-ভিসা আবেদন করার জন্য ডকুমেন্ট

০১। অরিজিনাল পাসপোর্ট স্ক্যান কপি PDF (মিনিমাম মেয়াদ ৬ মাস থাকতে হবে)
০২। ছবি স্ক্যান কপি সাইজ (৩৫X৪৫) ক্লিয়ার সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড‌।
০৩। ৬ মাসের ব্যাংক স্ট্যাটমেন্ট ও সলভেন্সি সার্টিফিকেট স্ক্যান কপি ।
০৪ । ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যবসায়িক বা কোম্পানির প্যাডে ফরওয়ার্ডিং লেটার স্ক্যান কপি।
০৫। NOC – নো অবজেকশন সার্টিফিকেট এর অরিজিনাল স্ক্যান কপি (চাকুরীজীবিদের জন্য)
০৬ । ভিসিটিং কার্ড স্ক্যান কপি (ইংরেজি) (চাকুরীজীবি ও ব্যবসায়ী উভয়ের জন্য)
০৭। স্টুডেন্ট কার্ড অথবা ছুটির লেটার স্কেন কপি।
০৮। সরকারী চাকুরীজীবিদের জিও কপি, (ইংরেজি অনুবাদ ও নোটারাইজ) অরিজিনাল স্ক্যান কপি।
০৯। সদ্য বিবাহিতদের নিকাহনামা কপি (ইংরেজি অনুবাদ ও নোটারাইজ) অরিজিনাল স্ক্যান কপি।

ধাপ ৩: ভিসা আবেদন ফর্ম পূরণ করুন।
প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্ট সংগ্রহ করার পর, ভিসা আবেদন ফর্মটি পূরণ করুন। এটি সঠিকভাবে এবং সত্য তথ্য দিয়া পূরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। বেশিরভাগ এম্বাসি /দূতাবাস অনলাইন আবেদন ফর্ম প্রদান করে, তবে কিছু ক্ষেত্রে অফ লাইনে জমাকরার প্রয়োজন হতে পারে। ফর্মটির সাথে দেয়া সংশ্লিষ্ট বিশেষ নির্দেশনাগুলি যাচাই করুন।

ধাপ ৪: ভিসা ফি পরিশোধ করুন।
বেশিরভাগ দেশে একটি নন-রিফান্ডেবল ভিসা আবেদন ফি জমা করতে হয় । প্রতিটি দেশের পেমেন্ট পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে, তাই দূতাবাস বা কনস্যুলেটের দেওয়া পেমেন্ট মাধ্যম চেক করুন। পেমেন্ট রিসিটটি সংরক্ষণ করুন কারণ এটি ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময় দেখাতে হতে পারে।

ধাপ ৫: ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট ডেট নিন।
আবেদন ফর্ম পূরণ এবং ফি পরিশোধ করার পর, নিকটস্থ দূতাবাস বা কনস্যুলেটে ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয় । কিছু দেশে অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট সিস্টেম রয়েছে, কিছু কিছু দাসের ক্ষেত্রে কল বা ইমেইল করতে হতে পারে।

ধাপ ৬: ভিসা ইন্টারভিউর জন্য প্রস্তুতি নিন।
অনেক দেশের ক্ষেত্রে ভিসা ইন্টারভিউ একটি ভিসা প্রসেসিং এর গুরুত্ব পূর্ণ অংশ । সাধারণ ইন্টারভিউ প্রশ্নগুলি নেট থেকে জানুন এবং নিজেকে প্রস্তুত করুন। আপনার সমস্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো ইন্টারভিউতে নিয়ে যান, সেগুলো সুন্দর করে সাজিয়ে একটি ফাইল করুন । ফরমাল পোশাক পরিধান করুন এবং সময়মতো উপস্থিত হন।

এই ভিসা প্রসেসিং গাইডটি বাংলাদেশ থেকে যেকোনো দেশে ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদন করতে আপনাকে সাহায্য করবে। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সাহায্য প্রয়োজন হয়, তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন বা কমেন্টে জানিয়ে দিন।

Leave a Comment