সিঙ্গাপুর ই-ভিসার জন্য নিম্নলিখিত ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন:
- পাসপোর্ট: বৈধ পাসপোর্ট যার মেয়াদ আবেদন করার তারিখ থেকে অন্তত ছয় মাসের জন্য বৈধ থাকতে হবে।
- পাসপোর্ট সাইজ ফটো: সাম্প্রতিক ছবি, সাধারণত সাদা পটভূমি সহ।
- ফ্লাইট টিকিট: সিঙ্গাপুরে যাওয়া এবং ফেরার ফ্লাইট টিকিটের কপি।
- হোটেল বুকিং: সিঙ্গাপুরে অবস্থানের সময়ের জন্য হোটেল বুকিং কনফার্মেশন।
- ফাইনান্সিয়াল ডকুমেন্ট: ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা অন্য কোনো প্রমাণ যা দেখাবে যে আপনার পর্যাপ্ত অর্থ আছে সিঙ্গাপুরে থাকার সময়ের জন্য।
- কভার লেটার: সিঙ্গাপুরে যাত্রার উদ্দেশ্য বর্ণনা করে একটি চিঠি।
- অফিসিয়াল ইনভাইটেশন লেটার: যদি কোনো কোম্পানি বা ব্যক্তি আপনাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকে, তবে সেই ইনভাইটেশন লেটার।
- ভিসা ফি: ভিসা প্রসেসিং ফি প্রদানের জন্য রশিদ।
- অন্যান্য ডকুমেন্ট: কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ডকুমেন্ট যেমন পেশাগত পরিচয়পত্র বা শিক্ষাগত সার্টিফিকেটও প্রয়োজন হতে পারে।
সিঙ্গাপুর ই-ভিসা সম্পর্কিত সাধারণ প্রশ্নোত্তর (FAQ)
প্রশ্ন ১: সিঙ্গাপুর ই-ভিসা আবেদন করার জন্য কিভাবে শুরু করবো?
উত্তর: সিঙ্গাপুর ই-ভিসা আবেদন করার জন্য প্রথমে সিঙ্গাপুরের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড চেকপয়েন্টস অথরিটি (ICA) এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে। তারপর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো স্ক্যান করে অনলাইনে আপলোড করতে হবে এবং ভিসা ফি প্রদান করতে হবে।
প্রশ্ন ২: ই-ভিসার আবেদন প্রক্রিয়ায় কতদিন সময় লাগে?
উত্তর: সাধারণত ই-ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ৩-৫ কার্যদিবস সময় নিতে পারে। তবে, কিছু ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি সময় নিতে পারে, বিশেষ করে অতিরিক্ত তথ্য বা ডকুমেন্ট প্রয়োজন হলে।
প্রশ্ন ৩: আমার পাসপোর্ট কি বৈধ হতে হবে?
উত্তর: হ্যাঁ, আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ আবেদন করার তারিখ থেকে অন্তত ছয় মাসের জন্য বৈধ থাকতে হবে।
প্রশ্ন ৪: কি ধরনের ছবি জমা দিতে হবে?
উত্তর: সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজ ছবি সাদা পটভূমি সহ জমা দিতে হবে। ছবির ফরম্যাট এবং আকার সম্পর্কে সঠিক নির্দেশনা পাওয়া যাবে আবেদন ফর্মে।
প্রশ্ন ৫: ই-ভিসার জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন?
উত্তর: পাসপোর্ট, পাসপোর্ট সাইজ ছবি, ফ্লাইট টিকিট, হোটেল বুকিং, ফাইনান্সিয়াল ডকুমেন্ট, কভার লেটার, অফিসিয়াল ইনভাইটেশন লেটার (যদি প্রযোজ্য), এবং ভিসা ফি প্রদানের রশিদ সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট।
প্রশ্ন ৬: ভিসা ফি কত?
উত্তর: ভিসা ফি নির্ভর করে আবেদনকারীর নাগরিকত্ব এবং ভিসার ধরণের উপর। সঠিক ফি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে সিঙ্গাপুর ই-ভিসা অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে।
প্রশ্ন ৭: আমার ই-ভিসা কি কিভাবে পাবো?
উত্তর: আপনার ই-ভিসা অনুমোদিত হলে, আপনি এটি ই-মেইলের মাধ্যমে পাবেন। ই-ভিসার প্রিন্ট আউট নিয়ে ভ্রমণের সময় তা সাথে রাখতে হবে।
প্রশ্ন ৮: ই-ভিসা কি ভ্রমণের সময় পাসপোর্টে স্ট্যাম্প হিসেবে দেওয়া হবে?
উত্তর: না, ই-ভিসা একটি ইলেকট্রনিক ডকুমেন্ট। ভ্রমণের সময় ই-ভিসার প্রিন্ট আউট এবং পাসপোর্ট সাথে রাখতে হবে এবং সিঙ্গাপুরে প্রবেশের সময় ইমিগ্রেশন চেকপয়েন্টে দেখাতে হবে।
প্রশ্ন ৯: আমি কি আমার ই-ভিসা আবেদন ট্র্যাক করতে পারবো?
উত্তর: হ্যাঁ, আপনি আবেদন করার পর একটি রেফারেন্স নম্বর পাবেন যা ব্যবহার করে আপনি আপনার আবেদন স্ট্যাটাস ট্র্যাক করতে পারবেন।
প্রশ্ন ১০: আমি কি আমার ই-ভিসা আবেদন বাতিল করতে পারি?
উত্তর: একবার আবেদন জমা দেওয়ার পর এবং প্রসেসিং শুরু হলে, সাধারণত আবেদন বাতিল করা সম্ভব হয় না। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে, কনস্যুলেটের সাথে যোগাযোগ করে সমাধান পাওয়া যেতে পারে।
এই সাধারণ প্রশ্নোত্তরগুলি সিঙ্গাপুর ই-ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আপনাকে ধারণা দেবে। আরও তথ্যের জন্য সিঙ্গাপুর ইমিগ্রেশন অ্যান্ড চেকপয়েন্টস অথরিটি (ICA) এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট দেখুন।