উজবেকিস্তান ভিসা প্রসেসিং গাইড || বাংলাদেশ থেকে কীভাবে ই-ভিসা আবেদন করবেন

Photo of author

By admin

প্রিয় পাঠকবৃন্দ আশা করছি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আজকে আমরা এই ব্লগে আলোচনা করব বাংলাদেশ থেকে কিভাবে ‌উজবেকিস্তান ভিসা প্রসেসিং করবেন এবং উজবেকিস্তান ভিসা প্রসেসিং করতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন। তাহলে চলুন শুরু করে দেয়া যাক আজকের ব্লগ টিউটোরিয়াল।

প্রথমে একটি বিষয়ে আলোচনা করতেই হয় তা হচ্ছে উজবেকিস্তান বাংলাদেশীদের জন্য ইলেকট্রনিক ভিসা বা ই-ভিসা প্রদান করেন। উজবেকিস্তান ভিসা প্রসেসিং করতে সাধারণত অল্প কিছু ডকুমেন্ট JPEG ফাইল আপলোড করতে হয় ।

উজবেকিস্তান ভিসা প্রসেসিং করতে যে সকল ডকুমেন্ট প্রয়োজন তা নিচে দেওয়া হল:

✅ পাসপোর্ট কপি ।
✅ পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
✅ ব্যবসায়িক বা চাকরির তথ্য।

উজবেকিস্তান ভিসা প্রসেসিং বিস্তারিত:

উজবেকিস্তান ভিসা প্রসেসিং করতে আপনার পাসপোর্ট ভালো স্ক্যানার দিয়ে স্ক্যান করে নিন। অবশ্যই পাসপোর্টের কপি JPEG ফরম্যাটে থাকতে হবে।

আপনার একটি রঙিন ছবি পাসপোর্ট সাইজ ৩৫×৪৫ mm হ্যাঁ ফটোশপ দিয়ে সাইজ করে নিন। উজবেকিস্তানের ভিসা আবেদনের জন্য ছবির সাইজ ১০০০ KB এর নিচে হতে হবে।

উজবেকিস্তান ই-ভিসা আবেদন করার সময় অবশ্যই আপনার চাকরির অবস্থান উল্লেখ করতে হবে। আপনি যদি ব্যবসায়ী হন তাহলে আপনার ব্যবসার একটি ধরন উল্লেখ করতে হবে। অবশ্যই উজবেকিস্তান ই-ভিসা আবেদন করার সময় চেষ্টা করবেন ভালো কোন তথ্য দেওয়ার যেন সহজভাবে এটা বুঝা যায় আপনি আপনার দেশে প্রতিষ্ঠিত।

এই ডকুমেন্টগুলো আপনার কাছে থাকলে আপনি ইতিমধ্যেই উজবেকিস্তান ই-ভিসা আবেদন করার জন্য প্রস্তুত। উজবেকিস্তান এ ভিসা আবেদন করার জন্য উজবেকিস্তান সরকারের দেওয়া ওয়েবসাইট Uzbekistan E-visa Link এ প্রবেশ করুন। এপ্লাই ভিসাতে ক্লিক করুন ।

Uzbekistan E-Visa

আপনার নাম , ঠিকানা ও সকল তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করুন । সকল তথ্য ঠিকমতো দেওয়ার পর নেক্সট বাটনে ক্লিক করুন । এখন আপনার ক্লিয়ার একটি ফটো আপলোড করুন এবং পাসপোর্ট এর কপি আপলোড করুন। তারপর আবার নেক্সট বাটনে ক্লিক করুন। এমতাবস্থায় যদি ছবি এবং পাসপোর্ট এর সাইজ এবং ফাইল ঠিকমতো থাকে তাহলে একটি ক্যাপচা পূরণ করে ফাইনাল বা ফিনিশ বাটনে ক্লিক করুন।

এখন আপনার ইমেইল সঠিকভাবে দিন এবং ক্যাপচা পূরণ করে নেক্সট বাটনে ক্লিক করুন আপনার এই পর্যন্ত আবেদন কমপ্লিট । আপনার দেওয়া মেইলে একটি অ্যাপ্লিকেশন কোড পাঠানো হয়েছে এবং একটি লিংক পাঠানো হয়েছে। উজবেকিস্তান ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া ইমেইলে এক্টিভেশন লিঙ্ক থাকবে ওখানে ক্লিক করলে আবার ওয়েবসাইটে আপনাকে নিয়ে আসা হবে এবং আপনাকে আপনার অ্যাপ্লিকেশন এক্টিভ কনফার্মেশন করা হবে।

এমতাবস্থায় আপনাকে পেমেন্টে ক্লিক করতে হবে। এবং যেকোনো ভিসা দোয়েল কারেন্সি কার্ড বা আপনার ক্রেডিট কার্ড থেকে পেমেন্ট করার জন্য পে- বাটনে ক্লিক করুন। সঠিকভাবে কার্ডের তথ্য দিয়ে আপনি আপনার ভিসা কমপ্লিট করুন। উল্লেখ্য যে উজবেকিস্তান ই-ভিসা সিঙ্গেল এন্ট্রির জন্য আপনার থেকে ২০ USD/ডলার কেটে নেওয়া হবে এবং 7% চার্জ প্রদান করতে হবে।

সঠিকভাবে পেমেন্ট কমপ্লিট হওয়ার পর তিন ওয়ার্কিং ডে সময় লাগবে উজবেকিস্তানের ই ভিসা প্রসেসিং হতে। আপনি আপনার মেইল চেক করুন এবং উজবেকিস্তানের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া এপ্লিকেশন কোড সংরক্ষণ করে রাখুন পরবর্তীতে ভিসা ডাউনলোড করুন।

Uzbekistan Embassy in Bangladesh / বাংলাদেশে উজবেকিস্তানের দূতাবাস :

EP-40, Dr. S. Radhakrishnan Marg, Chanakyapuri, New Delhi – 110 021
ফোন নম্বর: +91-11-24670899, +91-11-24105640
ফ্যাক্স: +91-11-24670773
কনস্যুলার বিভাগের ফোন নম্বর: +91-11-24670774, +91-11-24670775
উজবেকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হটলাইন: (+998 71) 233-28-28
ই-মেইল: info.uzbekembassy@gmail.com

অন্যান্য বিবরণ: খোলা থাকার সময়: 09:00 থেকে 18:00
কর্মদিবস: সোমবার – শুক্রবার

 

  উজবেকিস্তান ই -ভিসা নমুনা দেখতে ক্লিক করুন

উজবেকিস্তান ভিসা প্রসেসিং নিয়ে আমার‌ ব্লগ টিউটোরিয়াল আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন।

উজবেকিস্তান ভিসা প্রসেসিং সংক্রান্ত ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও তাদের উত্তর

১. উজবেকিস্তানের ভিসার জন্য কী কী ডকুমেন্ট প্রয়োজন ?
উত্তর :- বৈধ পাসপোর্ট, পূর্ণাঙ্গ ভিসা আবেদন ফর্ম, পাসপোর্ট সাইজের ছবি
বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন

২. উজবেকিস্তান ভিসার জন্য আবেদন কোথায় করা যায় ?
উত্তর :- উজবেকিস্তানের দূতাবাস বা কনস্যুলেট, অথবা অনলাইন ই-ভিসা সিস্টেমের মাধ্যমে।

৩. উজবেকিস্তানের ভিসা প্রকারগুলো কী কী ?
টুরিস্ট ভিসা, বিজনেস ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, এবং ট্রানজিট ভিসা।

৪. উজবেকিস্তানের ই-ভিসার জন্য আবেদনের নিয়ম কি ?
উত্তর :-অনলাইনে ফর্ম পূরণ করা, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করা, ভিসা ফি প্রদান করা, এবং ইমেইলে ই-ভিসা রিসিভ করুন।

৫. উজবেকিস্তান ভিসা প্রসেসিং সময় কতদিন ?
উত্তর :- সাধারণত ৩ থেকে ৪ কার্যদিবস লাগে, তবে তা দূতাবাসের নিয়ম ও আবেদনকারীর দেশের উপর নির্ভর করে।

৬. উজবেকিস্তানে টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ কতদিন ?
উত্তর :- সাধারণত ৩০ দিন।

৭. উজবেকিস্তানের ই-ভিসার জন্য কি অগ্রিম আবেদন করতে হবে ?
উত্তর :- হ্যাঁ, যাত্রার কমপক্ষে ৩ কার্যদিবস আগে আবেদন করতে হয়।

৮.  উজবেকিস্তানের ই-ভিসা কি একাধিকবার প্রবেশের অনুমতি দেয় ?
উত্তর :- সাধারণত ই-ভিসা একবার প্রবেশের অনুমতি দেয়, তবে মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

৯. উজবেকিস্তানের ভিসা ফি কত ?
উত্তর :- এটি ভিসার প্রকার ও আবেদনকারীর দেশের উপর নির্ভর করে। সাধারণত $20 থেকে $60 পর্যন্ত হতে পারে।

১০. উজবেকিস্তানের ভিসা আবেদন কি অনলাইনে ট্র্যাক করা যায় ?
উত্তর :-  হ্যাঁ, ই-ভিসা আবেদন অনলাইনে ট্র্যাক করা যায়।

১১. উজবেকিস্তানে ভিসা রিফিউজ হলে কী করতে হবে ?
উত্তর :- রিফিউজের কারণ জানার চেষ্টা করা এবং সেই অনুযায়ী ডকুমেন্ট আপডেট করে পুনরায় আবেদন করা।

১২. ভিসার জন্য স্বাস্থ্য বীমা প্রয়োজন হয় কি ?
উত্তর :- স্বাস্থ্য বীমা বাধ্যতামূলক না হলেও, ভ্রমণের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

১৩. উজবেকিস্তানে কাজ করার জন্য কি বিশেষ ভিসা প্রয়োজন ?
উত্তর :- হ্যাঁ, কাজ করার জন্য ওয়ার্ক ভিসা প্রয়োজন।

১৪. উজবেকিস্তানে ট্রানজিট ভিসা কতদিনের জন্য দেওয়া হয় ?
উত্তর :- সাধারণত ৭২ ঘন্টার জন্য।

১৫. উজবেকিস্তানের ভিসা আবেদন কোথায় চেক করা যাবে ?
উত্তর :- উজবেকিস্তানের দূতাবাস বা কনস্যুলেটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বা ই-ভিসার পোর্টালে।

পরিশেষে বলতে চাই আপনাদের সুবিধার্থে আমরা দৈনিক বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতেছি এবং তার বাস্তবতা যাচাই-বাছাই পূর্বক আমাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করতেছি। উজবেকিস্তানের ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দেওয়ার জন্য এবং আপনার ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াকে সহজ করার জন্য আমাদের এই ব্লগ।

অসংখ্য ধন্যবাদ সময় নিয়ে আমাদের এই ব্লগটি পড়ার জন্য। আমাদের এই ব্লক যদি আপনার উপকার হয় তাহলে একটি সুন্দর কমেন্ট করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।

Leave a Comment